এম,আবদুল মন্নান, আমিরাত : সংযুক্ত আরব আমিরাতের মার্কেটগুলোতে বিশেষ ছাড়ে কেনাকাটায় ধুম পড়েছে।পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে আমিরাতের ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ পণ্যে দিয়েছেন বিশেষ ছাড়। বাদ পড়েনি ফল-মূল, সবজি-তরকারি, পোশাক, কসমেটিক, তৈজসপত্র, মোবাইল ও গাড়ী । এ বরকতময় মাস ও ঈদ উপলক্ষে প্রতি বছর স্থানীয় অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশি মালিকানাধীন হাইপার মার্কেট, সুপার মার্কেট ও বিপনি গুলোতেও এ ছাড় দিয়ে আসছেন দেশীয় ব্যবসায়ীরা । এতে বিক্রয়ে বেশ সাফল্যও পেয়েছেন বলে জানান বাংলাদেশি বেশ কিছু ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মার্কেটে কর্মরত উচ্চ পদস্হ কর্মকর্তারা। পণ্যে বিশেষ ছাড় ও মান বিবেচনায় সস্তা পেয়ে অনেক প্রবাসী আমিরাত থেকে বিভিন্ন মালামাল ও কাপড় চোপড় বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন নিজ নিজ দেশে। যদিও বা অন্যান্য দেশের চেয়ে কার্গোতে আমাদের দেশে মালামাল পাঠানোটা বেশ জটিল ও সময় সাপেক্ষ। তবুও কম বেশী দেশীয় প্রবাসীরা জিনিসপত্র পাঠাচ্ছেন। আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশে আবুধাবী, দুবাইস্থ শপিং মলে আগত ক্রেতারা জানান, ‘দেশ মাতৃকার মায়া ত্যাগ করে পরদেশে আসা প্রবাসীরা রমজানে এমন বিশেষ ছাড় পেয়ে খুবই খুশি। তারা আশা করেন, দেশের ব্যবসায়ীরাও রমজান এব্ং ঈদ উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসসহ জামা কাপড়ের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রাখবেন।’ সামর্থ্যের মাঝে কেনাকাটা করতে পেরে প্রবাসীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। দেশে ছুটি কাটতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ আবছার তৈয়বী। তাই দেশের জন্য কেনাকাটা করতে করতে তিনি বলেন, এখানকার প্রতিটি জিনিসপত্র দেশের তুলনায় সস্তা ও সুন্দর। মাস খানেকের জন্য দেশে যাচ্ছি তাই যাবতীয় জিনিসপত্র আর ছেলে মেয়েদের জন্য কাপড় ছোপড় যতটুকু পারছি নিয়ে যাচ্ছি।
শপিং করতে আসা মোহাম্মদ আজিম সিকদার বলেন, প্রতি বছর রমজান ও ঈদে দেশে যাওয়া হয় না। এবার দেশ থেকে এক বন্ধু এসেছেন তার মারফতে যতটুকু সম্ভব পাঠাতে চেষ্টা করছি। তিনি বলেন কার্গোতে জিনিষপত্র পাঠানো টা ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ।
ভারতীয় মালিকানাধীন আমিরাতের নামকরা লুলু সুপারমার্কেটের দেশীয় কর্মকর্তা( আবুধাবী মজিয়ত মলের ডিজিএম) চট্টগ্রামের মোহাম্মদ শোয়েব জানান, রমজান ও ঈদের জন্য লুলুতে অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জামা, কাপড়, জুতা ও কসমিটেকের উপর বিশেষ ছাড় চলছে। তাই আমাদের মার্কেটগুলোতে অন্যান্য প্রবাসী কাস্টমারদের চেয়ে বাংলাদেশী প্রবাসী বেশী। তারা তাদের পছন্দমত সব কিছুই সুলভ খরিদ করে দেশে পাঠাচ্ছেন। আবুধাবীর স্থানীয় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমিরাতের ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে ব্যবসার চেয়েও মানুষকে সেবা দেয়াটাই বেশি শ্রেয় মনে করেন। দেশে একদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য উর্ধ্বমূখী, অন্যদিকে মান নিন্মমুখী হওয়ায় পরিবারের জন্য অনেক মালামাল আমরা কার্গোর মাধ্যমে দেশে পাঠাচ্ছি। বছরের শ্রেষ্ঠতম মাসে আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের মতো দেশের ব্যসবসায়ীরাও ভেজাল মুক্ত ও জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পণ্যের মূল্যে লাগাম ধরবে বলে প্রত্যাশা সবার।’